স্বদেশ ডেস্খ:
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে ও বিদেশে অনেক ষড়যন্ত্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে। দলের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বক্তারা। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ এগিয়ে যায়। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল তা চায় না। তারা ভিনদেশিদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তাই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভাসূত্র জানায়, ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় শুধু ক্ষমতাসীন দল বা সরকারই নয়, দেশের মানুষকেও সঠিক বার্তা দিয়ে সচেতন করে তুলতে হবে বলে দলের তিনজন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বক্তব্য দেন। এ ছাড়া সভায় আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাওয়া স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
সভায় উপস্থিত কয়েকজন নেতা জানান, অনেক বাধা, ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণে দূরদর্শিতার প্রমাণের জন্য নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। তারা বলেন, এমন একটি কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে বাংলাদেশ কী পারে, বঙ্গবন্ধুকন্যা কী পারে। অর্থাৎ উদ্দেশ্য মহৎ হলে লাগাতার ষড়যন্ত্র করেও কোনো কিছুকে রুখে দেওয়া যায় না।
সভা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য খন্দকার গোলাম মওলা নকশবন্দী আমাদের সময়কে বলেন, তেমন কিছু না পদ্মা সেতু নিয়ে কথা হয়েছে। আগামী নির্বাচন ইস্যুতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিষয়ে কথা হয়েছে। কারও কিছু চাওয়া পাওয়া থাকলে সব বাস্তবায়ন হবে অসুবিধা নেই। আগে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনটা করতে হবে।
দীর্ঘ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অনুষ্ঠিত সভা শেষে গণভবন গেটে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেক ষড়যন্ত্র হবে। নেতাকর্মীদের সেসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে গঠনমূলকভাবে। অনেকেই এখন রাজনীতির মাঠে লাশ চায়। তাদের সেই স্বার্থ যেন হাসিল না হয় সে বিষয়ে ছাত্রলীগসহ সব সংগঠনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল পর্যায় থেকে দলকে শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়েছেন উপদেষ্টারা। দেশে ষড়যন্ত্র আছে; সেই বিষয়েও দলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। এ ছাড়া ছাত্রলীগকে মানববন্ধনের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করার পরামর্শ দিয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংকট মোকাবিলার বিষয়েও নেতৃবৃন্দকে সতর্ক থাকতে হবে।